মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এইচ এসসি পরীক্ষার্থীনিকে অপহরণ ধর্ষন মামলা গ্রেফতার পুলিশ কনষ্টেবল !

এইচ এসসি পরীক্ষার্থীনিকে অপহরণ পুর্বক ধর্ষনের ঘটনায় আইনুল হক নামে এক পুলিশ কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ধর্মপাশা থানা ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আইনুল পুলিশের সিলেট রেঞ্জের সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ধর্মপাশা থানায় কনষ্টেবল হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলার পুর্ব জাফলং ইউনিয়নের ইসলামপুর দুভাগ গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে ও বিবাহিত।
মঙ্গলবার রাতে ধর্মপাশা সার্কেল অফিসার (সহকারি পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ ও থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক আইনুলকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ধর্মপাশা থানায় দায়েরকৃত মামলা ও ভিকটিম এইচএসসি পরীক্ষার্থীনি (কলেজ ছাত্রী)র পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,ধর্মপাশা থানায় কনষ্টেবল পদে কর্মরত থাকার সুবাধে আইনুল থানা ভবনের পার্শ¦বর্তী পাড়ার সনাতন ধর্মালম্বী (হিন্দু)পরিবারের পিতৃহীন এক কলেজ ছাত্রীর সাথে বছর খানেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
মন দেয়া নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেনজার, হোয়াটস আপে কথাবার্তা, ছবি, ভিডিও ফুটেজ আদান করেন প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনেই।
সুনামগঞ্জের পাশর্^বর্তী জেলার একটি কলেজে চলতি বছর ২৬ জুন এইচ এসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষে দুপুরের দিকে বেড়ানোর কথা বলে মুঠোফোনে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্মপাশার মহদীপুর স্পীটবোট ঘাটে আসতে বলেন আইনুল।
এরপর ঘাটে আসলে স্পীডবোট যোগে বিকেলের দিকে সুনামগঞ্জে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে জেলা শহর সুনামগঞ্জ নিয়ে আসা হয় কলেজ ছাত্রীকে। শহরের ওমর আবাসিক হোটেলে উঠেন আইনুল ও কলেজ ছাত্রী ওই দিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে ।
এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেল কক্ষে রাতভর একাধিকবার জোরপুর্বক ধর্ষণ করেন করেন আইনুল ওই কলেজ ছাত্রীকে। পরদিন ২৭ জুন বেলা ১২টা অবধি হোটেল কক্ষ ত্যাগ করার পুর্ব মুহুর্ত অবধি আরো কয়েক বার ধর্ষণ করেন কনষ্টেবল আইনুল পিতৃহীন কলেজ ছাত্রীকে।
ওই দিন ১২টার পর সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের বিভিন্ন শাখা, আদালতে ডাক পৌছে দিয়ে আইনুল কলেজ ছাত্রীকে সাথে নিয়ে ফিরেন ধর্মপাশায়।
প্রেম পরবর্তী কৌশলে অপরহণ ধর্ষনের ঘটনাটি পরিবারের লোকজন ও ধর্মপাশা থানা পুলিশকে অবহিত করেন ওই কলেজ ছাত্রী।
সম্ভ্রমহানির এক পর্যায়ে বিয়ের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে ধর্মপাশা থানা ভবনে অবস্থান নেন কলেজ ছাত্রী। কনষ্টেবল আইনুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে কলেজ ছাত্রী সোমবার দিবাগত রাতে থানায় আইনুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
রাতেই অভিযোগটি অপহরণ ধর্ষন মামলা হিসাবে থানায় রুজুর পর মঙ্গলবার ভোররাতে থানা ভবন থেকেই কনষ্টেবল আইনুলকে গ্রেফতার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

এইচ এসসি পরীক্ষার্থীনিকে অপহরণ ধর্ষন মামলা গ্রেফতার পুলিশ কনষ্টেবল !

প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

এইচ এসসি পরীক্ষার্থীনিকে অপহরণ পুর্বক ধর্ষনের ঘটনায় আইনুল হক নামে এক পুলিশ কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ধর্মপাশা থানা ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আইনুল পুলিশের সিলেট রেঞ্জের সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ধর্মপাশা থানায় কনষ্টেবল হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলার পুর্ব জাফলং ইউনিয়নের ইসলামপুর দুভাগ গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে ও বিবাহিত।
মঙ্গলবার রাতে ধর্মপাশা সার্কেল অফিসার (সহকারি পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ ও থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক আইনুলকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ধর্মপাশা থানায় দায়েরকৃত মামলা ও ভিকটিম এইচএসসি পরীক্ষার্থীনি (কলেজ ছাত্রী)র পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,ধর্মপাশা থানায় কনষ্টেবল পদে কর্মরত থাকার সুবাধে আইনুল থানা ভবনের পার্শ¦বর্তী পাড়ার সনাতন ধর্মালম্বী (হিন্দু)পরিবারের পিতৃহীন এক কলেজ ছাত্রীর সাথে বছর খানেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
মন দেয়া নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেনজার, হোয়াটস আপে কথাবার্তা, ছবি, ভিডিও ফুটেজ আদান করেন প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনেই।
সুনামগঞ্জের পাশর্^বর্তী জেলার একটি কলেজে চলতি বছর ২৬ জুন এইচ এসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষে দুপুরের দিকে বেড়ানোর কথা বলে মুঠোফোনে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্মপাশার মহদীপুর স্পীটবোট ঘাটে আসতে বলেন আইনুল।
এরপর ঘাটে আসলে স্পীডবোট যোগে বিকেলের দিকে সুনামগঞ্জে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে জেলা শহর সুনামগঞ্জ নিয়ে আসা হয় কলেজ ছাত্রীকে। শহরের ওমর আবাসিক হোটেলে উঠেন আইনুল ও কলেজ ছাত্রী ওই দিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে ।
এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেল কক্ষে রাতভর একাধিকবার জোরপুর্বক ধর্ষণ করেন করেন আইনুল ওই কলেজ ছাত্রীকে। পরদিন ২৭ জুন বেলা ১২টা অবধি হোটেল কক্ষ ত্যাগ করার পুর্ব মুহুর্ত অবধি আরো কয়েক বার ধর্ষণ করেন কনষ্টেবল আইনুল পিতৃহীন কলেজ ছাত্রীকে।
ওই দিন ১২টার পর সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের বিভিন্ন শাখা, আদালতে ডাক পৌছে দিয়ে আইনুল কলেজ ছাত্রীকে সাথে নিয়ে ফিরেন ধর্মপাশায়।
প্রেম পরবর্তী কৌশলে অপরহণ ধর্ষনের ঘটনাটি পরিবারের লোকজন ও ধর্মপাশা থানা পুলিশকে অবহিত করেন ওই কলেজ ছাত্রী।
সম্ভ্রমহানির এক পর্যায়ে বিয়ের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে ধর্মপাশা থানা ভবনে অবস্থান নেন কলেজ ছাত্রী। কনষ্টেবল আইনুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে কলেজ ছাত্রী সোমবার দিবাগত রাতে থানায় আইনুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
রাতেই অভিযোগটি অপহরণ ধর্ষন মামলা হিসাবে থানায় রুজুর পর মঙ্গলবার ভোররাতে থানা ভবন থেকেই কনষ্টেবল আইনুলকে গ্রেফতার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।