কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বাদে সারা দেশের সব পর্যায়ের কমিটি স্থগিত ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (২৭ জুলাই) বিকালে শাহবাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকালে শাহবাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ।
চাঁদাবাজির দায়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘গতকালসহ বিগত দিনগুলোর বেশ কয়েকটি ঘটনায় আমরা দেখেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে অনেক ধরনের অপকর্ম করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কমিটির আত্মপ্রকাশের দিনই আমরা সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, এ ধরনের অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। এরপরও বিভিন্ন মহল ও রাজনৈতিক দলগুলোর শেল্টারে অপকর্ম চলছে, তাছাড়া দেখা যাচ্ছে জুলাই যোদ্ধাদের কেউ কেউ বিপথগামী হয়েছে। এই মুহূর্তে বিষয়টি ভিজিবলি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তাই অর্গানোগ্রামের জরুরি মিটিংয়ে উপস্থিত চারজন সম্মিলিতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশে সব কমিটির কার্যক্রম আজ (২৭ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হলো।’
প্রসঙ্গত, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিতের ঘোষণা এল।
রিফাত রশিদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলছি, আজকের এই প্রেস কনফারেন্সের পর থেকে সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যে বা যারা কোনো ধরনের অপকর্ম করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবেন। এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব’। এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামীতে কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে তিনি জানান।