Sylhet ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাতকের পিআইও কে এম মাহবুবুর রহমান এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা-পিআইও কেএম মাহবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ২৪ মে দূর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের আলী আহমদ। পিআইও কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় কাজ করে বিলের টাকা পাচ্ছেন না প্রকল্পের কমিটির সদস্যরা। এঘটনায় উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে এবং জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় আলমপুর মোল্লাবাড়ি থেকে এতিমখানা পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট এর প্রকল্প ব্যয় বাবদ এক লক্ষ একাশি হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয় উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের আলী আহমদ। ওই কাজের বিলের ১ম কিস্তি নিয়ে মাটি ভরাটের কাজ সমাপ্ত করেন তিনি। গত ১৪মে তিনি ২য় কিস্তি কাজের বিলের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে অফিসে গেলে বিলের ২০% টাকা ঘুষ দাবী করেন পিআইও কেএম মাহবুর রহমান। তখন তার সাথে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা দিলে পিআইও কেএম মাহবুর রহমান ২৪ হাজার টাকা ছাড়া বিল নিবেন না বলে জানান। তখন তিনি ১৫মে বাকী ১৪ হাজার টাকা দেয়ার কথা বললে পিআইও কে এম মাহবুব বলেন, তাহলে ১৫ তারিখেই বিল নিয়েন। তখন উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত পিআইও মো. লুৎফর রহমান পিআইও কে এম মাহবুবকে বলেন, “ভাই রেখে দেন এবং এখান থেকে ৫ হাজার টাকা আমাকে দেন” পরে পিআইও কেএম মাহবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত পিআইও লুৎফরকে বলেন, “১ম কিস্তির পুরাটাই তুমি নিছো, ২য় কিস্তির টাকা আমি নেই” এভাবে দু’পিআইওর মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। তাদের চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তার পরের দিন থেকে পিআইও মাহবুব বাহিরে রয়েছেন।
জানাযায়, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছাতকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও হিসেবে যোগ দেন কেএম মাহবুব রহমান। তিনি যোগদানের পর থেকে উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তাবায়নে লাখ লাখ টাকার ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ই অর্থবছরের টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও এডিপির ২২৭টি প্রকল্পের বিষয়ে সম্প্রতি আবার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিলে ১৬মে ইউএনওর সাথে পিআইওর বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিআইও কার্যালয়ের কার্য সহকারি নাজমুল ইসলামও। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রকল্পের কোনো ধরণের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছাড় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরদিন শনিবার অফিস করেননি পিআইও কেএম মাহবুব রহমান। ওইদিন রাতে ইউএনও বরাবরে তিন দিনের ছুটি চেয়ে একটি আবেদন লিখে ইউএনওকে না দিয়েই নিজ কার্যালয়ের টেবিলে রেখে ছাতক ছেড়ে যান পিআইও কেএম মাহবুব রহমান। পিআইও কেএম মাহবুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় প্রকল্পের কমিটির সদস্যরা পিআইও কার্যালয়ে কাজ করেও বিলের টাকা পাচ্ছেন না। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি ১৪ মে পর্যন্ত ট্রেনিংয়ে থাকা অবস্থায় দুই মাস ছাতক উপজেলার পিআইও’র অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা-পিআইও লুৎফুর রহমান। পিআইও’র ঘুষ-দুর্নীতি প্রকাশের ভয়ে কার্য সহকারি নাজমুল ইসলামকে ছাতক থেকে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় বদলি করা হয় এবং তার কু-কর্ম ঢাকতে উওজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিআইও কেএম মাহবুর রহমান।
এব্যাপারে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের ইজাজুল হক রনি জানান, তিনি মুক্তিরগাঁও গ্রামের রাস্তার উভয় পাশে মাটি ভরাট প্রকল্প কাজের সেক্রেটারি। তার কাছ থেকে সরকারি খরচের নামে ২৪ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়েছেন পিআইও কেএম মাহবুবুর রহমান।
একই ইউনিয়নের হাসনাবাদ-নয়া লম্বাহাটি রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্প কাজের জন্য সেক্রেটারি বাহাউদ্দিন শাহী বলেন, আমার কাছে ১২ হাজার টাকা চেয়েছেন ওই পিআইও।
এ ব্যাপারে উপজেলা পিআইও অফিসের কার্য সহকারি নাজমুল ইসলাম এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউএনও ও পিআইওর মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার থেকে পিআইও কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান প্রকল্পের টাকা লেনদেনের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ইউএনও পিআইও’র মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও নাজমুলের বদলির ঘটনা তিনি শুনেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কেএম মাহবুবুর রহমান তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব কিছুই ইউএনও সাহেবের ষড়যন্ত্র; তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে গত ১৮ মে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ আমাদের মহাপরিচালককে বরাবরেও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, পিআইও কার্যালয়ে কার্য-সহকারির সাথে পিআইও কেএম মাহবুব রহমানের কিছু ঝামেলা হয়েছিল। এজন্য তাকে ডেকে বকাঝকা করে সর্তক করা হয়েছিল, লাঞ্ছিত করা হয়নি। ওই প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে আমার দপ্তরে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই জানানো হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

ছাতকের পিআইও কে এম মাহবুবুর রহমান এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা-পিআইও কেএম মাহবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ২৪ মে দূর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের আলী আহমদ। পিআইও কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় কাজ করে বিলের টাকা পাচ্ছেন না প্রকল্পের কমিটির সদস্যরা। এঘটনায় উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে এবং জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় আলমপুর মোল্লাবাড়ি থেকে এতিমখানা পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট এর প্রকল্প ব্যয় বাবদ এক লক্ষ একাশি হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয় উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের আলী আহমদ। ওই কাজের বিলের ১ম কিস্তি নিয়ে মাটি ভরাটের কাজ সমাপ্ত করেন তিনি। গত ১৪মে তিনি ২য় কিস্তি কাজের বিলের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে অফিসে গেলে বিলের ২০% টাকা ঘুষ দাবী করেন পিআইও কেএম মাহবুর রহমান। তখন তার সাথে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা দিলে পিআইও কেএম মাহবুর রহমান ২৪ হাজার টাকা ছাড়া বিল নিবেন না বলে জানান। তখন তিনি ১৫মে বাকী ১৪ হাজার টাকা দেয়ার কথা বললে পিআইও কে এম মাহবুব বলেন, তাহলে ১৫ তারিখেই বিল নিয়েন। তখন উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত পিআইও মো. লুৎফর রহমান পিআইও কে এম মাহবুবকে বলেন, “ভাই রেখে দেন এবং এখান থেকে ৫ হাজার টাকা আমাকে দেন” পরে পিআইও কেএম মাহবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত পিআইও লুৎফরকে বলেন, “১ম কিস্তির পুরাটাই তুমি নিছো, ২য় কিস্তির টাকা আমি নেই” এভাবে দু’পিআইওর মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। তাদের চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তার পরের দিন থেকে পিআইও মাহবুব বাহিরে রয়েছেন।
জানাযায়, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছাতকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও হিসেবে যোগ দেন কেএম মাহবুব রহমান। তিনি যোগদানের পর থেকে উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তাবায়নে লাখ লাখ টাকার ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ই অর্থবছরের টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও এডিপির ২২৭টি প্রকল্পের বিষয়ে সম্প্রতি আবার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিলে ১৬মে ইউএনওর সাথে পিআইওর বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিআইও কার্যালয়ের কার্য সহকারি নাজমুল ইসলামও। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রকল্পের কোনো ধরণের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছাড় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরদিন শনিবার অফিস করেননি পিআইও কেএম মাহবুব রহমান। ওইদিন রাতে ইউএনও বরাবরে তিন দিনের ছুটি চেয়ে একটি আবেদন লিখে ইউএনওকে না দিয়েই নিজ কার্যালয়ের টেবিলে রেখে ছাতক ছেড়ে যান পিআইও কেএম মাহবুব রহমান। পিআইও কেএম মাহবুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় প্রকল্পের কমিটির সদস্যরা পিআইও কার্যালয়ে কাজ করেও বিলের টাকা পাচ্ছেন না। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি ১৪ মে পর্যন্ত ট্রেনিংয়ে থাকা অবস্থায় দুই মাস ছাতক উপজেলার পিআইও’র অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা-পিআইও লুৎফুর রহমান। পিআইও’র ঘুষ-দুর্নীতি প্রকাশের ভয়ে কার্য সহকারি নাজমুল ইসলামকে ছাতক থেকে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় বদলি করা হয় এবং তার কু-কর্ম ঢাকতে উওজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিআইও কেএম মাহবুর রহমান।
এব্যাপারে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের ইজাজুল হক রনি জানান, তিনি মুক্তিরগাঁও গ্রামের রাস্তার উভয় পাশে মাটি ভরাট প্রকল্প কাজের সেক্রেটারি। তার কাছ থেকে সরকারি খরচের নামে ২৪ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়েছেন পিআইও কেএম মাহবুবুর রহমান।
একই ইউনিয়নের হাসনাবাদ-নয়া লম্বাহাটি রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্প কাজের জন্য সেক্রেটারি বাহাউদ্দিন শাহী বলেন, আমার কাছে ১২ হাজার টাকা চেয়েছেন ওই পিআইও।
এ ব্যাপারে উপজেলা পিআইও অফিসের কার্য সহকারি নাজমুল ইসলাম এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউএনও ও পিআইওর মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার থেকে পিআইও কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান প্রকল্পের টাকা লেনদেনের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ইউএনও পিআইও’র মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও নাজমুলের বদলির ঘটনা তিনি শুনেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কেএম মাহবুবুর রহমান তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব কিছুই ইউএনও সাহেবের ষড়যন্ত্র; তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে গত ১৮ মে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ আমাদের মহাপরিচালককে বরাবরেও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, পিআইও কার্যালয়ে কার্য-সহকারির সাথে পিআইও কেএম মাহবুব রহমানের কিছু ঝামেলা হয়েছিল। এজন্য তাকে ডেকে বকাঝকা করে সর্তক করা হয়েছিল, লাঞ্ছিত করা হয়নি। ওই প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে আমার দপ্তরে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই জানানো হয়েছে।