সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। একই সাথে, জ্বর, সর্দি-কাশি, ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হলেও বিশেষ পরীক্ষা বা চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এবং সংক্রমণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন “ঘুমিয়ে” আছে এবং করোনা মোকাবিলায় কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমনকি হাসপাতালে বা জনসমাগমের স্থানগুলোতে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো মৌলিক স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। শহরের প্রধান প্রধান জনসমাগমের স্থান, বাজার বা গণপরিবহণেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিন জানান, এই সমস্যাটি শুধু ছাতকের নয়, দেশের অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও একই চিত্র বিরাজ করছে, কারণ করোনা পরীক্ষার কিট এখনও এসে পৌঁছায়নি। এখন যে কেউ চাইলে করোনা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন এবং করোনা রোগীদের জন্য ৫ বেড বিশিষ্ট একটি কোভিড ডেডিকেটেড ওয়ার্ডও তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজি) থেকে কিটের চাহিদা চাওয়া হয়েছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী কিট সরবরাহ করা হবে। কিট হাতে পেলেই তারা করোনা পরীক্ষা চালু করতে পারবেন এবং সে বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত করবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কিট চলে আসতে পারে। বর্তমানে সম্ভবত মেডিকেল কলেজগুলোতে কিট সরবরাহ করা হয়েছে এবং সরকার থেকে কিট এলে একসাথেই সকল উপজেলায় তা বিতরণ করা হবে। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, চাইলেও বাইরে থেকে কিট ক্রয় করার কোনো সুযোগ নেই, সেন্ট্রাল থেকেই ক্রয় করে প্রত্যেক উপজেলায় তা বিতরণ করা হয়। তার আগে কেউ করোনা টেস্ট করতে চাইলে মেডিকেল কলেজে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।