সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ধর্ষণের পর এক কিশোরী (১৬) কে মারধর করে গাড়িতে করে নদীরপাড়ে নিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় এক প্রেমিক। বুধবার বিকেলে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সমধল গাঙ্গপাড় এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে, পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক জাবেদ মিয়া (৩২) কে রাতে আটক করেছে পুলিশ। সে জগন্নাথপুর পৌরসভার ইকড়ছই (আমবাড়ি) গ্রামের আফসর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায় , ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সঙ্গে জাবেদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বুধবার দুপুরে ওই কিশোরী জাবেদকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এক পর্যায়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর জাবেদ তার বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের সমধল গাঙ্গপাড় ফেলে পালিয়ে যায়।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল মিয়া বলেন, ওই কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় সমধল গাঙ্গপাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্ত্যবরত চিকিৎসক সৃজনা সরকার তমা বলেন, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মারধরের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মেয়েটি আমাদের কে জানায়। তবে তার শারিরীক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, দুজনেই মাদকসেবী। তারা এক সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করত। ঘটনার পর মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং জাবেদকে আটক করা হয়।