সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহিদেরা সাম্প্রতিক কালের বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠসন্তান। দেড় যুগের জুলুম নিপীড়ন দুঃশাসনে দেশের মানুষ ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে যখন আকাশের দিকে তাকিয়েছিল- ঠিক সেই মুহূর্তে দেশমাতৃকার গর্বিত সন্তানেরা নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। তাদের শাহাদতবরণ বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে শহিদদের স্বপ্ন পূরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার সিলেট জেলা পরিষদের উদ্যোগে নিজস্ব তহবিল থেকে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সিলেট জেলার শহিদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জেলার ১৪ জন শহিদ ছাত্র-জনতার পরিবারের মধ্যে ১২ জনের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়।
রেজা-উন-নবী বলেন, রাষ্ট্রের কাজ জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। বিবেকের দায় থেকে সরকারের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পরিষদের প্রশাসক দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ার-উজ-জামান, সিলেট আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মমিনুল হক, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমার পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কোর্ট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা শাহ আলম। গীতা পাঠ করেন তিন্নি রায়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সনদ্বীপ কুমার সিংহ।
অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- শহিদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর), ঢাকা দক্ষিণের শহিদ পাবেল আহমদ কামরুলের বড় ভাই পিপলু আহমদ, গোয়াইনঘাটের সিয়াম আহমদ রাহিমের বাবা আনোয়ার-উজ-জামান।