প্রেস সচিব বলেন, ‘জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত একটা ভয়াবহ সময় পার করেছি। আমরা ট্রমার মধ্যে ছিলাম। মুখটাকে বন্ধ করতে যা ইচ্ছা তাই করেছে। অনেকে তাদের দালাল হিসেবে কাজ করেছে। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে দালালি করেছেন। অনেক সাংবাদিক কিন্তু স্বৈরাচারের সঙ্গে তেলযুদ্ধে পারেননি। কম তেল হলেই আউট। ১৫টি বছর আমরা এভাবে কাটিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কোনো গণমাধ্যমকর্মী যাতে আহত না হন। যারা সংবাদপত্র চালান তাদের একটা বড় দায় রয়েছে। মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের সেফটি ইকুইপমেন্ট পর্যাপ্তভাবে দেন না। ভিজে যে রিস্ক নিয়ে সংবাদ কাভার করেন, সে রিস্ক কেউ নেয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রতিবেদককে যেন সেফটি গিয়ার বাদে সংবাদ কাভার করতে না হয়। বাংলাদেশের সবাই যেন প্রত্যেকটা ঘটনা রিস্ক ফ্রি ওয়েতে কাভার করেন।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে ফ্রিডম অব প্রেস, স্পিচ, অ্যাসোসিয়েশন যেন নিশ্চিত করা হয়। কারো স্বাধীনতায় আমরা এক ইঞ্চি আটকাবো না। এরকম স্বাধীনতা বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। কেউ বলতে পারবে না কাউকে আমরা একটা নিউজের ক্ষেত্রে মাথা ঘামিয়েছি। অনেকে বলছেন আমাদের সময়ে মামলা হচ্ছে, কিন্তু গিয়ে দেখেন আমরা কেউ এর মধ্যে আছে কি না।