বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে গৃহকর্মীর মৃত্যু, চিকিৎসক পরিবার উধাও

 

সিলেট মহানগরের মেজরটিলা এলাকায় চিকিৎসক জাকারিয়া আহমেদ রুমেলের বাসায় ৮ বছর যাবত কাজ করে আসছে কিশোরী লাকী আক্তার।

গত ২২ মার্চ রাতে লাকী আক্তারের পেটে ব্যথার কথা বলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন গৃহকর্তা ডা. জাকারিয়া আহমেদ রুমেল। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাকীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষত চিহ্ন চোখে পড়ে তার পরিবারের লোকজনের।

সোমবার (২৪ মার্চ) ভোরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাকী আক্তারের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর গলায় বিষাক্ত দ্রব্যের আলামত মিলেছে। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, প্রেমে বাধা দেওয়ায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন গৃহকর্মী নিজেই।

এদিকে গৃহকর্মী লাকীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর পরিবার নিয়ে উধাও হয়েছেন গৃহকর্তা চিকিৎসক জাকারিয়া। এতে ওই কিশেরীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।

নির্যাতনের পর হারপিক খাইয়ে লাকীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।

লাকী আক্তারের মা বিলাতুল বেগমের অভিযোগ, এর আগেও লাকী আক্তারকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের পর জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে তার মেয়েকে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ডা. জাকারিয়া আহমেদ রুমেলকে ফোন করলে অজ্ঞাত স্থান থেকে তিনি কল রিসিভ করেন। নির্যাতনের বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রেমে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভে হারপিক খেয়েছে লাকী।

সিলেট এসএমপির শাহপরান থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, চিকিৎসক গলায় বিষাক্ত দ্রব্যের আলামত পেয়েছেন। আমরা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্ধুদের সহযোগিতায় পুলিশ কন্সষ্টেবলের সরকারি কোয়ার্টারে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ!

সিলেটে গৃহকর্মীর মৃত্যু, চিকিৎসক পরিবার উধাও

প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

সিলেট মহানগরের মেজরটিলা এলাকায় চিকিৎসক জাকারিয়া আহমেদ রুমেলের বাসায় ৮ বছর যাবত কাজ করে আসছে কিশোরী লাকী আক্তার।

গত ২২ মার্চ রাতে লাকী আক্তারের পেটে ব্যথার কথা বলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন গৃহকর্তা ডা. জাকারিয়া আহমেদ রুমেল। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাকীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষত চিহ্ন চোখে পড়ে তার পরিবারের লোকজনের।

সোমবার (২৪ মার্চ) ভোরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাকী আক্তারের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর গলায় বিষাক্ত দ্রব্যের আলামত মিলেছে। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, প্রেমে বাধা দেওয়ায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন গৃহকর্মী নিজেই।

এদিকে গৃহকর্মী লাকীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর পরিবার নিয়ে উধাও হয়েছেন গৃহকর্তা চিকিৎসক জাকারিয়া। এতে ওই কিশেরীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।

নির্যাতনের পর হারপিক খাইয়ে লাকীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।

লাকী আক্তারের মা বিলাতুল বেগমের অভিযোগ, এর আগেও লাকী আক্তারকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের পর জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে তার মেয়েকে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ডা. জাকারিয়া আহমেদ রুমেলকে ফোন করলে অজ্ঞাত স্থান থেকে তিনি কল রিসিভ করেন। নির্যাতনের বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রেমে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভে হারপিক খেয়েছে লাকী।

সিলেট এসএমপির শাহপরান থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, চিকিৎসক গলায় বিষাক্ত দ্রব্যের আলামত পেয়েছেন। আমরা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।