Sylhet ০৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ইউএনওর বিরুদ্ধে মানববন্ধনে বিএনপির হামলা, আহত ২০

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দুর্নীতির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে পণ্ড হয়ে যায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলটি। আহত হয় অন্তত ২০ জন।

রোববার বিকালে উপজেলার মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউএনওর পক্ষ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়।

বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও হিসাবে দায়িত্বরত রয়েছেন মফিজুর রহমান। বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইউএনও হিসাবে উপজেলাটিতে যোগ দেন।

জানা গেছে, ইউএনওর ঘুস ও দুর্নীতির তদন্ত এবং তাকে অপসারণের দাবিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কারেন্ট বাজারে উপজেলাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলার বিপ্লবী চত্বরে যেতে থাকেন ক্ষুব্ধরা। তারা মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পণ্ড হয়ে মিছিলটি। আহত হয় অন্তত ২০ জন। পরে বিপ্লবী চত্বরে ফের মানববন্ধন করার জন্য ব্যানার নিয়ে দাঁড়ালে আবারও হামলা চালানো হয়। তখন ব্যানার ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া ও মানববন্ধন আয়োজন করা শফিকুল ইসলাম জনি, নুরুল আলম ও আব্দুর রব জানান, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মফিজুর রহমান ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন।

সরকারি রাজস্ব আয়ের উৎস, সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাট ছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন ইউএনও।

তাদের অভিযোগ, উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাংশের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলা চালিয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ আকরাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাঙ্গীর আলম ও আকরাম হোসেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা যুবদল নেতা সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোনো ধরণের হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। অহেতুক মানববন্ধনের নামে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে মানববন্ধনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে মাত্র।’

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, ‘কিছু সংখ্যক লোকজন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসীর নামে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা বাধা দেন।’

ইউএনও মফিজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টারের সর্বোচ্চ দরদাতাকে লিজ দেওয়া হয়েছে। লিজ বঞ্চিতরা সংক্ষুব্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Sylhet Vision

সুনামগঞ্জে ইউএনওর বিরুদ্ধে মানববন্ধনে বিএনপির হামলা, আহত ২০

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দুর্নীতির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে পণ্ড হয়ে যায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলটি। আহত হয় অন্তত ২০ জন।

রোববার বিকালে উপজেলার মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউএনওর পক্ষ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়।

বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও হিসাবে দায়িত্বরত রয়েছেন মফিজুর রহমান। বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইউএনও হিসাবে উপজেলাটিতে যোগ দেন।

জানা গেছে, ইউএনওর ঘুস ও দুর্নীতির তদন্ত এবং তাকে অপসারণের দাবিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কারেন্ট বাজারে উপজেলাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলার বিপ্লবী চত্বরে যেতে থাকেন ক্ষুব্ধরা। তারা মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পণ্ড হয়ে মিছিলটি। আহত হয় অন্তত ২০ জন। পরে বিপ্লবী চত্বরে ফের মানববন্ধন করার জন্য ব্যানার নিয়ে দাঁড়ালে আবারও হামলা চালানো হয়। তখন ব্যানার ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া ও মানববন্ধন আয়োজন করা শফিকুল ইসলাম জনি, নুরুল আলম ও আব্দুর রব জানান, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মফিজুর রহমান ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন।

সরকারি রাজস্ব আয়ের উৎস, সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাট ছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন ইউএনও।

তাদের অভিযোগ, উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাংশের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলা চালিয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ আকরাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাঙ্গীর আলম ও আকরাম হোসেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা যুবদল নেতা সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোনো ধরণের হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। অহেতুক মানববন্ধনের নামে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে মানববন্ধনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে মাত্র।’

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, ‘কিছু সংখ্যক লোকজন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসীর নামে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা বাধা দেন।’

ইউএনও মফিজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টারের সর্বোচ্চ দরদাতাকে লিজ দেওয়া হয়েছে। লিজ বঞ্চিতরা সংক্ষুব্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে।