Sylhet ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

 

বিশেষ প্রতিনিধি ::

গত বুধবার রাত ১১টায় সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের সুরমা নদীর পুর্বপার জালাল উদ্দিনের ক্রাশার মিল সংলগ্ন চর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ২ ঘন্টার মধ্যে খুনি স্বামী রহমত আলী(২৫)কে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রাজন দাস জানান, সুরমা ইউনিয়নের বেড়িগাও গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে রহমত আলীর সাথে ১ বছর পুর্বে চট্রগ্রামে একটি গার্মেন্টসে সুমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুত্র ধরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে দুজনের সম্মতিতে বিয়ে করেন তারা। এর আগে রহমত আরেকটি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দুজনের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে এবং রহমত আলী তার স্ত্রীকে প্রায় সময় সন্দেহের চোখে দেখতেন। এর জের ধরে গত বুধবার রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় বান্ধবীর বাড়ি থেকে সুমাকে নিজ বাড়ি বেড়িগাও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশা করে বুদারগাও পয়েন্টে নেমে পাঁয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে রহমত আলী একটু পিছনে গিয়ে তার স্ত্রী সুমাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় সুমা চিৎকার দিলে খুনি রহমত আলী মুখে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এর পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘাই মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।পরে লাশ গুম করার জন্য লাশ নিজে কাঁধে নিয়ে নবীনগর নির্জন চরে ফেলে আসে। গোপন সংবাদ পেয়ে বুধবার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২.৩০ মিনেটে পৌর এলাকার নবীনগর খন্দকার হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় খুনি রহমত আলীকে । গ্রেফতারের পর আসামি খুনের সত্যতা স্বীকার করেন এবং তার দেখানো পথেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর থানা ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী, তদন্ত অফিসার ওয়ালী উল্লা এবং সুনামগঞ্জ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সুনামগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

প্রকাশের সময় : ০১:২৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

 

বিশেষ প্রতিনিধি ::

গত বুধবার রাত ১১টায় সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের সুরমা নদীর পুর্বপার জালাল উদ্দিনের ক্রাশার মিল সংলগ্ন চর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ২ ঘন্টার মধ্যে খুনি স্বামী রহমত আলী(২৫)কে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রাজন দাস জানান, সুরমা ইউনিয়নের বেড়িগাও গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে রহমত আলীর সাথে ১ বছর পুর্বে চট্রগ্রামে একটি গার্মেন্টসে সুমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুত্র ধরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে দুজনের সম্মতিতে বিয়ে করেন তারা। এর আগে রহমত আরেকটি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দুজনের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে এবং রহমত আলী তার স্ত্রীকে প্রায় সময় সন্দেহের চোখে দেখতেন। এর জের ধরে গত বুধবার রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় বান্ধবীর বাড়ি থেকে সুমাকে নিজ বাড়ি বেড়িগাও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশা করে বুদারগাও পয়েন্টে নেমে পাঁয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে রহমত আলী একটু পিছনে গিয়ে তার স্ত্রী সুমাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় সুমা চিৎকার দিলে খুনি রহমত আলী মুখে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এর পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘাই মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।পরে লাশ গুম করার জন্য লাশ নিজে কাঁধে নিয়ে নবীনগর নির্জন চরে ফেলে আসে। গোপন সংবাদ পেয়ে বুধবার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২.৩০ মিনেটে পৌর এলাকার নবীনগর খন্দকার হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় খুনি রহমত আলীকে । গ্রেফতারের পর আসামি খুনের সত্যতা স্বীকার করেন এবং তার দেখানো পথেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর থানা ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী, তদন্ত অফিসার ওয়ালী উল্লা এবং সুনামগঞ্জ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।