বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সেই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পর থেকেই একটি রাজনৈতিক মঞ্চে ওসির এমন বক্তব্যকে অপেশাদার বলে মন্তব্য করেছে সাধারণ মানুষ।২ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিতে ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পরে আপনারা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। ১৫-১৬ বছর পরে আপনারা এক জায়গায় হতে পারছেন, সবার সাথে কথা বলতে পারছেন।
আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করব যে সুযোগটা আসছে, সেই সুযোগটা সদ্ব্যবহার করেন। এমন কোনো কাজ কইরেন না যে আপনাদের মধ্যে থেকে তৃতীয় পক্ষ কোনো সুযোগ নিতে পারে।’
এরপর তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই প্রগ্রামটা আপনাদেরই। আমি কেন পুলিশ আসব।
তার পরও আমি এলাম। আমার থানার সামনে, আসতে হবে। মনও চায় আসতে। মনেরও টান দেয় যে এখানে একটু কথা বলি। আসলে সব সময় তো সব কথা বলা যায় না।
আমি আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি কেউ কোনো ঝামেলা করবেন না। আমরা আপনাদের সেবায় এখানে আছি। যতটুকু পারি আমাদের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করব। সব হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যান। আপনাদের মধ্যে যদি হিংসা থাকে তাহলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেবে। এই সুযোগ আর দেওয়া যাবে না।’
এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম তার বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপির দুই পক্ষকে থামাতে ওই মঞ্চে এমন বক্তব্য দিয়েছি। এ ছাড়া আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসির বক্তব্যের বিষয়টি নজরে এসেছে। তিনি কী বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। খোকসা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ আমজাদ আলীর সভাপতিত্বে কর্মিসভার উদ্বোধক ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও প্রধানবক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।